ক্রিমিনাল কেস বা ফৌজদারি
মামলা কি
—————————–
সাধারন ভাষায় কোন ব্যক্তিকে যখন
মারামারি, চুরি,ডাকাতি,খুন, যখম,
প্রতারনা, দস্যুতা, রেইপ, অপহরণ, বে-
আইনি সমাবেশ, ইভ-টিজিং ,
জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্যদান
প্রভুতি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে
তার বিরুদ্বে মামলা দায়ের করা হয়
তাকে বলে ফৌজদারি মামলা
ক্রিমিনাল কেস।
পেনাল কোডে অপরাধ এবং এর
শাস্তির পরিমাণ উল্লেখ আছে কিন্তু
কিভাবে অপরাধিকে শাস্তি দেয়া
হবে তার কথা উল্লেখ আছে কোড অফ
ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ বা
ফৌজদারি কার্যবিধিতে।
ব্যাপক ভাবে ক্রিমিনাল আদালত
তিনভাগে বিভক্ত: (ধারা-৬)
—————————————-
১। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট
২। দায়রা জাজ আদালত
৩। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
আবার দুই ধরনের অধস্তন আদালতের
সারি আছে। যেমন:- দায়রা আদালত
এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। জেলা
পর্যায় যে বা যারা ক্রিমিনাল
মামলা পরিচালনা করেন তাদের
সেশন কোট বা দায়রা আদালত বলে। এই
আদালতের বিচারকরা হলেন:-
১। দায়রা জাজ:- যিনি জেলায় পর্যায়
ক্রিমিনাল মামলার প্রধান বিচারক।
২। অতিরিক্ত দায়রাজজ
৩। যুগ্ন দায়রাজজ।
দায়রা জাজ আইন আরোপিত সব ধরনের
শাস্তি দিতে পারেন। শুধু ডেথ
পেনাল্টির কার্যকর করার ক্ষেত্রে
হাইকোটের অনুমতি লাগবে।
যুগ্ন দায়রাজজ ডেথ পেনাল্টি বা ১০
বছরের বেশি কারাদন্ড দিতে পারবেন
না। (ধারা-৩১)
অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই
ভাবে পরিচিত । যেমন:- মেট্রোপলিটন
এলাকার মম্যাজিস্ট্রেট এবং
মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরের
ম্যাজিস্ট্রেট। মেট্রোপলিটন এলাকার
ম্যাজিস্ট্রেট এর শ্রেণিবিভাগ
নিন্মরুপ:-
১। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
(সিএম এম)
২। অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেট
৩। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রথম
শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গণ্য
হবেন।
অপরদিকে মেট্রোপলিটন বা মহানগর
এলাকার বাহিরের ম্যাজিস্ট্রেটরা
বা জেলা আদালতের
ম্যাজিস্ট্রেটরা নিন্ম শ্রেনীতে
বিভক্ত :-
১। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
২। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট
৩। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলতে
সেকেন্ড ক্লাস এবং থার্ডক্লাশ
ম্যাজিস্ট্রেটকে বোঝানো হয়েছে।
বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট (নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট নয়) এর এখতিয়ার ও
ক্ষমতা:- (ধারা-৩২)
—————————————————-
১। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম
শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট :- নির্জন
কারাবস সহ ৫ বছরের অনধিক কারাদন্ড
দিতে পারবেন এবং ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করতে পারবেন।
২। সেকেন্ড ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট :-
নির্জন কারাবাস সহ ৩ বছরের কারাদন্ড
এবং অনধিক ৫ হাজার টাকা
জরিমানা।
৩। থার্ডক্লাশ ম্যাজিস্ট্রেট :- অনধিক ২
বছরের সাজা এবং ২ হাজার টাকা
জরিমানা।
কোন আসামি যদি জরিমানার টাকা
দিতে না চান সেক্ষেত্রে
ম্যাজিস্ট্রেট টাকা অনাদায়ের জন্য
আসামিকে দণ্ডদানের তার যে ক্ষমতা
আছে তার এক-চতুথাংশের বেশি হবে
না। (ধারা-৩৩)
ক্রিমিনাল কেস বা ফৌজদারি মামলা কি
25 Saturday Apr 2015
Posted LAW
in