কি কি কারণে জাতীয় সংসদের
সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল হয় তা আমাদের
জানা আছে কি?
এর উত্তর জানার জন্য আমাদেরকে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের
সংবিধানের আশ্রয় নিতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নিম্নলিখিত কারণে/
পরিস্থিতিতে সংসদ সদস্যের আসন শুন্য
হবে,
যদি কোন সাংসদ তাঁর নির্বাচনের পর
সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে ৯০
দিনের মধ্যে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা
ঘোষণা করতে ও শপথপত্রে বা
ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন।
অবশ্য এ মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে স্পীকার
যথার্থ কারণে সময় বর্ধিত করতে পারেন
সংসদের অনুমতি না নিয়ে কোন সাংসদ
একাদিক্রমে ৯০ বৈঠক দিবস অনুপস্থিত
থাকেন সংসদ ভেঙ্গে যায় কোন সদস্য
অপ্রকৃতিস্থ, দেওলিয়া বা বিদেশী
প্রমাণিত হন কিংবা অন্য কোন আইনে
অযোগ্য ঘোষিত হন ।
যদি কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে
মনোনীত হয়ে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য
নির্বাচিত হওয়ার পর যদি তিনি উক্ত দল
থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে দলের
বিপক্ষে ভোট দেন কিংবা দলের
নির্দেশ অমান্য করে ভোটদানে বিরত
থাকেন
যদি কোন সাংসদ একাধিক নির্বাচনী
এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়ে তাঁর
সর্বশেষ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে
তিনি কোন এলাকার প্রতিনিধিত্ব
করতে ইচ্ছুক তা নির্বাচন কমিশনকে না
জানান তাহলে সংসতে তাঁর সকল আসন
শুন্য বলে বিবেচিত হবে
যদি কোন সাংসদ স্পীকারের নিকট
স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগপত্র
পেশ করেন এবং স্পীকার পদত্যাগপত্র
প্রাপ্ত হওয়ার সময় থেকে উক্ত সদস্যের
আসন শুন্য হবে।
কি কি কারণে জাতীয় সংসদের সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল হয়
09 Saturday May 2015
Posted LAW
in