ফৌজদারী কার্যবিধি-জামিন
সম্পর্কিত ধারা
—————————————————–

——————————————————
ফৌজদারী কার্যবিধি-জামিন
সম্পর্কিত ধারা
ধারা ৪৯৬। যে সকল ক্ষেত্রে জামিন
মঞ্জুর করা যাইবে
ধারা ৪৯৭। যখন জামিনের অযোগ্য
অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা
যাইবে
ধারা ৪৯৮। জামিন মঞ্জুর ও জামিনের
অর্থের পরিমাণ হ্রাসের ক্ষমতা
ধারা ৪৯৯। আসামী ও জামিনদারের
বন্ড
ধারা ৪৯৬। যে সকল ক্ষেত্রে জামিন
মঞ্জুর করা যাইবে:
জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত
ব্যক্তি ব্যতীত অপর কোন ব্যক্তি কোন
থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হইলে বা
আটক থাকিলে, বা আদালতে হাজির
হইলে বা তাহাকে হাজির করা হইলে,
সে যদি উক্ত অফিসারের হেফাজতে
থাকিবার সময় বা উক্ত আদালতের
কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে জামানত
দিতে প্রস্তুত থাকে তাহা হইলে
তাহাকে জামিনে মুক্তি দিতে
হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অফিসার বা
আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তাহার
নিকট হইতে জামানত গ্রহণের পরিবর্তে
সে অতঃপর বর্ণিতভাবে হাজির হইবার
জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা
সম্পাদন করিলে তাহাকে মুক্তি দিতে
পারিবেন।
তবে আরও শর্ত থাকে যে, এই ধারার
কোন বিধান ১০৭ ধারার (৪) উপধারা
বা ১১৭ ধারার (৩) উপধারার কোন
বিধানকে প্রভাবিত করিবে বলিয়া
গণ্য করা হইবে না।
ধারা ৪৯৭। যখন জামিনের অযোগ্য
অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা
যাইবে :
(১) জামিনের অযোগ্য অপরাধে
অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি থানার
ভারপ্রাপ্ত অফিসার কর্তৃক বিনা
ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হইলে বা আটক
থাকিলে অথবা আদালতে হাজির
হইলে বা তাহাকে হাজির করা হইলে
তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া
যাইেত পারে; কিন্তু সে মৃত্যুদন্ড বা
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোন
অপরাধে দোষী বলিয়া বিশ্বাস
করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে
উক্তরূপে দেওয়া যাইবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এইরূপ
অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি ষোল
বৎসরের কম বয়স্ক বা স্ত্রীলোক বা
পীড়িত বা অক্ষম হইলে তাহাকে
জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ
দিতে পারিবেন।
(২) ক্ষেত্রমতে তদন্ত, ইনকোয়ারী বা
বিচারের কোন পর্যায়ে উক্ত অফিসার
বা আদলতের নিকট যদি প্রতিয়মান হয়
যে, আসামী জামিনের অযোগ্য কোন
অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস
করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই, কিন্তু
তাহার অপরাধ-সম্পর্কে আরও
ইনকোয়ারির পর্যাপ্ত হেতু রহিয়াছে,
তাহা হইলে এইরূপ ইনকোয়ারী
সাপেক্ষে আসামীকে জামিনে,
অথবা উক্ত অফিসার বা আদলত বা
আদালতের ইচ্ছানুযাসারে সে অতঃপর
বর্ণিতভাবে হাজির হইবার জন্য
জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন
করিলে তাহাকে মুক্তি দিত
পারিবেন।
(৩) কোন অফিসার বা আদালত (১)
উপধারা বা (২) উপধারা অনুসারে
কোন ব্যক্তিকে মুক্তি দিলে তাহার
ঐরূপ করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন।
(৪) জামিনের অযোগ্য অপরাধে
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার সমাপ্ত হইবার
পর এবং রায় দানের পূর্বে কোন সময়
আদালত যদি মনে করেন যে, আসামী
উক্ত অপরাধে দোষী নহে বলিয়া
বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ
রহিয়াছে, তাহা হইলে আসামী
হাজতে থাকিলে রায় শ্রবণের
উদ্দেশ্যে হাজির হইবার জন্য
জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদনের
পর তাহাকে মুক্তি দিবেন।
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা
আদালত এবং নিজে মুক্তি দিয়া
থাকিলে অন্য কোন আদালত এই ধারা
অনুসারে মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে
গ্রেফতার করাইতে ও তাহাকে
হাজতে প্রেরণ করিতে পারিবেন।
ধারা ৪৯৮। জামিন মঞ্জুর ও জামিনের
অর্থের পরিমাণ হ্রাসের ক্ষমতা:
এই অধ্যায়ের অধীন সম্পাদিত প্রত্যেক
বণ্ডের অর্থের পরিমাণ মকদ্দমার যথাযথ
পরিস্থিতি বিবেচনা করিয়া
নির্ধারণ করিতে হইবে এবং উহা
অত্যধিক হইবে না এবং দন্ডের পর আপীল
থাকুক বা না থাকুক, হাইকোর্ট বিভাগ
বা দায়রা আদালত যেকোন ক্ষেত্রে
যেকোন ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর
করিবার বা পুলিশ অফিসার বা
ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দাবিকৃত জামানত
হ্রাস করিবার নির্দেশ দিতে পারেন।
ধারা ৪৯৯। আসামী ও জামিনদারের
বন্ড:
(১) কোন ব্যক্তিকে জামিনে বা
তাহার নিজের মুচলেকায় মুক্তি
দেওয়ার পূর্বে উক্ত ব্যক্তি পুলিশ
অফিসার বা আদালত যেইরূপ পর্যাপ্ত
মনে করেন সেইরূপ পরিমাণ অর্থের জন্য
একটি বন্ড সম্পাদন করিবে এবং যখন
তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়
তখন এক বা একাধিক পর্যাপ্ত
জামিনদার এই শর্তে বন্ড সম্পাদন
করিবে যে, উক্ত ব্যক্তি বন্ডে
উল্লেখিত সময়ে ও স্থানে হাজির
হইবে এবং পুলিশ অফিসার বা আদালত
ভিন্নরূপ নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
উক্তরূপে হাজির হইতে থাকিবে।
(২) মকদ্দমার প্রয়োজন হইলে জামিনে
মুক্ত ব্যক্তির জন্য আরও শর্ত থাকিবে যে,
অভিযোগের জবাবদানের জন্য আহ্বান
করা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ, দায়রা
আদালত বা অন্য কোন আদালতে হাজির
হইতে হইবে।