বর্গা চাষ সংক্রান্ত অধিকার :
বর্গাদারের সাথে জমির মালিকের
বর্গাচাষ সংক্রান্ত চুক্তি
সম্পাদনের অধিকার এবং চুক্তির
ব্যাপারে একমত হওয়ার পর চুক্তি
সম্পাদনের জন্য সময় পাবার অধিকার
৷ (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার
অধ্যাদেশের ৯(১) ধারা)
জমি বর্গা দেওয়ার অধিকার এবং
বর্গা চাষ করার অধিকার (১৯৮৪
সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের
৮(১) ধারা)
বর্গা জমি হতে উত্পন্ন ফসলের ভাগ
পাবার অধিকার ৷ (১৯৮৪ সালের
ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১২
ধারা)
বর্গাকৃত জমিটি নির্ধারিত সময়ের
জন্য ভোগ দখলের অধিকার ৷{১ঌ৮৪
সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের
৮(২)ধারা}
চুক্তি সম্পাদন নিয়ে কোনো সমস্যার
সৃষ্টি হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত
কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার
অধিকার ।{১৯৮৪ সালের ভূমি
সংস্কার অধ্যাদেশের ৯(৩) ধারা}
বর্গাদার কোনো বর্গাচুক্তির
কোনো শর্ত লংঘন করলে জমির
মালিক কর্তৃক জমি ফিরিয়ে নেয়ার
অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি
সংস্কার অধ্যাদেশের ১১ ধারা}
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তি যদি
বর্গাজমির ফসল বিক্রির করার
দায়িত্ব নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে
বর্গাদারের রশিদ পাবার অধিকার।
{১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার
অধ্যাদেশের ১২(৮) ধারা}
বর্গা জমিটি যদি জমির মালিক
বিক্রির ইচ্ছা পোষণ করে
সেক্ষেত্রে জমিটি ক্রয়ের জন্য
বর্গাদারের অধিকার ৷ {১৯৮৪
সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের
১৩) ধারা}
নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি বর্গা নেয়ার
অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি
সংস্কার অধ্যাদেশের ১৪ধারা}
বর্গা জমির উত্পন্ন ফসল গোলাজাত
করার জন্য জমির মালিক ও
বর্গাদারের মধ্যে আলোচনার
অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি
সংস্কার অধ্যাদেশের ১২(২) ধারা}
গোলাজাত সংক্রান্ত ব্যাপারে
মনিব ও বর্গাদারের মধ্যে আপোষ
মীমাংসা না হলে সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন
করার অধিকার ৷
নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের আদেশের
বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট
আপিলের অধিকার
{১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার
অধ্যাদেশের ১৭(২)ধারা}
লঙ্ঘন:
চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে একমত
হওয়ার পর চুক্তি সম্পাদনের জন্য সময়
না পাওয়া ৷
জমি বর্গা দেওয়ার পর বর্গা জমি
চাষ করতে না দেওয়া ৷
বর্গা জমি হতে উত্পন্ন ফসলের ভাগ
না দেওয়া ৷
বর্গাকৃত জমিটি নির্ধারিত সময়ের
জন্য ভোগ দখল করতে না দেওয়া ৷
চুক্তি সম্পাদন নিয়ে কোনো
সমস্যার সৃষ্টি হলে সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন
করতে বাধা দেওয়া ৷
বর্গাদার কোনো বর্গাচুক্তির
কোন শর্ত লংঘন করলে জমির
মালিককে বর্গা জমি ফিরিয়ে
দিতে অস্বীকার করা ৷
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তি যদি
বর্গাজমির ফসল বিক্রির করার
দায়িত্ব নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে
বর্গাদারকে রশিদ প্রদান না করা ৷
বর্গা জমিটি যদি জমির বিক্রির
ইচ্ছা পোষণ করে সেক্ষেত্রে
জমিটি ক্রয়ের জন্য বর্গাদারকে
সুযোগ না দেওয়া ৷
বর্গা জমির উত্পন্ন ফসল গোলাজাত
করার জন্য জমির মালিক ও
বর্গাদারের মধ্যে আলোচনা না করা
৷
প্রতিকার:
বর্গা জমি কিংবা বর্গা জমির চাষ
সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কোন
সমস্যার সৃষ্টি হলে সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট
যোগাযোগ করতে হবে ৷
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে
যদি কোন ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হন তাহলে
তিনি আপিল করতে পারবেন ৷
কোথায় আপিল করতে হবে?
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আপিল
কর্তৃপক্ষের নিকট ।
কতদিনের মধ্যে?
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের তারিখ হতে
৩০ দিনের মধ্যে৷
বর্গা চাষ সংক্রান্ত অধিকার
10 Sunday May 2015
Posted LAW
in