এজাহারের নমুনা
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
সাভার থানা, সাভার, ঢাকা৷
বিষয়: মামলার এজাহার দায়ের প্রসঙ্গে।
বাদী:
আয়াছ আলী (৪৫), পিতা-মৃত আশাক আলী, সাং-…
উপজেলা-সাভার, জেলা-ঢাকা
বিবাদী :
(১) কালু মিয়া (৩৪), পিতা-সাফাত মিয়;
(২) ফালু মিয়া (৩৮), পিতা-ঐ
(৩) বাবলু (২৭), পিতা-আক্কাছ মোল্লা;
সাক্ষী :
(১) সুরুজ মিয়া (৫৬), পিতা-আবু আব্বা;
(o২) আলতাফ আলী (৫০), পিতা-সোয়া মিয়া
(৩) মঙ্গল বেপারী (৬০), পিতা-আপ্তা
বেপারী;
(৪) মুজাম্মেল আলী (৪০), পিতা-কোরবান
আলী ;
(৫) মকদ্দছ (৪১), পিতা-আছদ্দর ;
(৬) বশির আলী (৩৫), পিতা-রকিব আলী ;
সর্ব সাং-… উপজেলা-সাভার, জেলা-ঢাকা।
ঘটনার তারিখ ও সময় : ০২-০১-২০০৫ রোজ শুক্রবার,
সকাল অনুমান ১১.৩০ মিঃ
ঘটনাস্থল : সাক্ষী মোজাম্মেল আলীর
বসত বাড়ির সামনের রাস্তার উপর।
মহোদয়,
আমি নিম্ন স্কাক্ষরকারী আয়াছ আলী অদ্য
০২-০১-২০০৫ তারিখ অনুমান ১.৪৫ মিঃ এর সময় আপনার
থানায় সাক্ষী আলতাফ আলী ও বশির
আলীসহ হাজির হয়ে এ মর্মে লিখিত এজাহার
দায়ের করছি যে, উপরোক্ত বিবাদীদের
সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যদের জমি-জমা
নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত মনোমালিন্য চলছে
সে আক্রোশে উপরোক্ত বিবাদীগণ
উপরে বর্ণিত তারিখ ও সময়ে আমি বাড়ি হতে
সজিনা বাজারের দিকে যাওয়ার পথে সাক্ষী
মোজাম্মেল আলীর বাড়ীর সামনের
রাস্তায় পৌছা মাত্র হঠাত্ গাছের আড়াল হতে দৌড়ে
এসে আমার উপর বল্লম ও লাঠি দিয়ে আক্রমন
করে৷১ নং বিবাদী তাঁর হাতে থাকা বল্লম দিয়ে
আমার পেট লক্ষ্য করে ঘাই মারে আমি উক্ত ঘাই
ডান হাত দিয়ে ফিরানোর চেষ্ট করি এতে আমার
ডান হাতে মারাত্বক রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।আমি চিত্কার
দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ৩ নং আসামী
আমাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করতে
থাকে।২ নং আসামী আমার পকেটে থাকা
১০,২২০ টাকা নিয়ে যায়৷১ নং আসামী আমাকে লাথি
মারতে মারতে পাশের খালের দিকে
ফেলে দিতে থাকে এই সময় ৩ নং আসামী
বলে শালার বেটাকে প্রাণে মেরে
ফেল।এ সময় সাক্ষী মোজাম্মেল আলী
বাড়ি হতে বের হয়ে আসে এবং ঘটনা
দেখে চিত্কার দিয়ে বলে আরে কে কই
আছস তাড়াতাড়ি আয় আয়াছরে মাইরা
হালাইলো৷মোজাম্মেলের চিত্কার শুনে
আরো লোকজন ছুটে আসতে শুরু
করলে আসামীরা লাঠি ও বল্লম নিয়ে তাদের
বাড়ির দিকে হেটে চলে যায়।
আসামীরা চলে যাওয়ার পর আশ পাশের অনেক
লোক এবং সাক্ষীগণ আসে যাদের
অনেকেই আসামীদের ভয়ে আদালতে
গিয়ে সাক্ষী দিতে সাহস করেনি বলে মামলায়
তাঁদের সাক্ষী মানা হয়নি, তবে তাঁদেরকে
গোপনে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরাও সাক্ষী
দিবে৷পরে ১ ও ২ নং সাক্ষী আমাকে থানা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি
করেন৷ডাক্তার প্রাথমিক চিকিত্সা করে এক্সরেসহ
আরো উন্নত চিকিত্সা গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়ায়
আমি ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার সময় এ এজাহার
দায়ের করতে সাক্ষীদের সহায়তায় থানায়
আসি৷সাক্ষীদের ঘটনা বিস্তারিত বলেছি যা
তদন্তে প্রকাশ পাবে, আমার চিকিত্সার প্রাথমিক
কাগজপত্র সংযুক্ত করে দিলাম৷ডাক্তারী সনদ
পরে দাখিল করবো।
অতএব উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে
অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রার্থনাসহ
অত্র এজাহার দাখিল করলাম৷আমি আঘাতপ্রাপ্ত হ ওয়ায়
আমার কথা মতো আমার এলাকার জনাব বশির আলী
এই এজাহার লিখে আমাকে পাঠ করে শুনালে
আমি তা শুদ্ধ স্বীকারে নিজ নাম দস্তগত করলাম।
লেখক : বশির আলী
পিতা-রকিব আলী
সাং……….
বিনীত
আয়াছ আলী
তারিখ ২-১২-২০০৫ ইং