জেনে রাখুন তেতো করল্লার বহুমুখী গুণাবলী
Posted on May 13, 2015
খাদ্য ও পুষ্টি,জেনে রাখুনমেন্যুতে তেতো খাবারের কথা শুনলেইআমাদের মুখ শুকিয়ে যায়। টক, ঝাল, মিষ্টিরমতো ডায়েটে তেতো রাখাও কিন্তুজরুরী। তেতো খাবারের মাঝে করল্লা কিন্তুআমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী।তেতো বলে অনেকেই এই সবজিটিখেতে ভালোবাসেন নাকরল্লার তেতো ভাব কমাতে রান্না করারআগে কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতেপারেন। আজ তাহলে করল্লার গুণাগুণ সম্পর্কেজেনে রাখুন, তাতে হয়তো পরবর্তীতেতেতো খাওয়ার সময় খারাপ লাগবে না!কী কী রয়েছে করল্লায়?– প্রচুর পরিমানে আয়রণ রয়েছে। আয়রণহিমোগ্লোবিনতৈরি করতে সাহায্য করে।– করল্লায় যথেষ্ট পরিমানে বিটা ক্যারোটিনআছে। এমনকি ব্রকলি থেকেও দ্বিগুণপরিমানে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এতে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানেবিটা ক্যারোটিন উপকারী।– পালংশাকের দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম ও কলার দ্বিগুণপরিমান পটাশিয়াম করল্লায় রয়েছে। দাঁত ও হাড়ভাল রাখার জন্য ক্যালসিয়াম জরুরী। ব্লাডপ্রেশার মেনটেন করার জন্য ও হার্ট ভাল রাখারজন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন।– করল্লায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-সিরয়েছে। ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্যএকান্ত জরুরী। ভিটামিন সি আমাদের দেহেপ্রোটিন ও আয়রন যোগায় এবং ভাইরাস ওব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতাগড়ে তোলে।– ফাইবার সমৃদ্ধ করল্লা কোষ্ঠকাঠিন্যসমস্যাকমায়।– করল্লায় রয়েছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স,ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক এসিড, জিঙ্ক, ফসফরাস,ম্যাগনেসিয়াম। অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে।– ডায়বেটিসের পেশেন্টের ডায়েটেকরল্লা রাখুন। করল্লায় রয়েছে পলিপেপটাইডপি, যা ব্লাড ও ইউরিন সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনেরাখতেসাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েকরল্লার রস ও করল্লা সিদ্ধ খেতে পারেন।– নানা রকমের ব্লাড ডিজঅর্ডার যেমন স্ক্যাবিজ,রিং ওয়র্ম এর সমস্যায় করল্লা উপকারী। ব্লাডপিউরিফিকেশনে সাহায্য করে।– স্কিন ডিজিজ ও ইনফেকশন প্রতিরোধেসাহায্য করে।করল্লা পাতার রসের উপকারিতা:– করল্লা পাতার রস খুবই উপকারী। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, নানাধরনের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা প্রদানকরে। এনার্জি ও স্টেমিনা বাড়িয়ে তুলতেওকরল্লা পাতার রস সাহায্য করে।– অতিরিক্ত এলকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকেলিভার ড্যামেজড হলে , সে সমস্যায় করল্লাপাতার রস দারুন কাজে দেয়। শরীর থেকেঅতিরিক্ত টক্সিন ফ্লাশ আউট করতে সাহায্যকরে।– কলেরা বা ডায়রিয়ার প্রথম পর্যায়ে উচ্ছেপাতার রস খেতে শুরু করলে ভাল। উচ্ছে পাতাররস, লেবুর রস ও পেঁয়াজের রস মিশিয়েখেলে উপাকার হয়।– ব্লাড ডিজঅর্ডার সমস্যায় লেবুর রস ও করল্লাপাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন।– করল্লা পাতার রসে মধু মিশিয়ে খেতেপারেন। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস,ফেরেনজাইটিসের মতো সমস্যা কমাতেসাহায্য করে।– সোরিয়াসিসের সমস্যা, ফাংগাল ইনফেকশনপ্রতিরোধকরা সম্ভভ হয়।করল্লা সংরক্ষণের টিপস:– ফ্রিজের ভেজিটেবল বাস্কেটেকরল্লা রাখুন। বেশিদিন উচ্ছে ফেলেরাখবেন না। বাজার থেকে কেনার ৩-৪দিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলা ভাল।– রুম টেম্পারেচারে অন্যান্য সবজিরসঙ্গে করল্লা রাখলে পেকে গিয়েহলুদ হয়ে যেতে পারে। করল্লা আলাদারাখার চেষ্টা করুন।– পরিষ্কার পানিতে করল্লা ভাল করেধুয়ে রান্না করুন।সতর্কতা:– একদিনে অতিরিক্ত পরিমানে করল্লাখাবেন না। তলপেটে সামান্য ব্যথা হতেপারে।– ডায়বেটিস পেশেন্টরা ডাক্তারেরকাছ থেকে জেনে নিন সারাদিনে কতটাপরিমাণে তেতো খেতে পারবেন।সুগারের ওষুধের সঙ্গে তেতোরভারসাম্য বজায় রাখা দরকার।– প্রেগনেন্ট মহিলারাও ডাক্তারেরপরামর্শ নিয়ে করল্লার রস খাবেন।
image