image

ঘি খান, সুস্থ থাকুন

অনেকের কাছে ঘি অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
খাঁটি ঘি খুবই স্বাস্থ্যকর। সম্প্রতি বিশ্বের অনেক
পুষ্টিবিদ এ খাবারের উপকারিতার কথা
জানিয়েছেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন আলসার ও কোষ্টকাঠিন্য এবং
স্বাস্থ্যকর চোখ ও ত্বকের চিকিত্সায় ওষুধ
তৈরিতে ঘি ব্যবহার করা হয়। খবর দ্য টাইমস অব
ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘিতে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’,
‘ই’ ও ‘কে’ রয়েছে। অন্যান্য উপাদানের
চেয়ে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ই’-এর চমত্কার উত্স ঘি।
তাহলে আর দেরি নয়, জেনে নেওয়া
যাক- ঘি’র অন্যান্য উপকারিতা।
মস্তিষ্কের সুরক্ষায়:
মস্তিস্ক সুরক্ষায় এটি খুব উপকারী। একাগ্রতা
বাড়াতে ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে ঘি
খেতে পারেন। এটি একই সঙ্গে শরীর
ও মন ভালো রাখে।
চোখের জ্যোতি:
এটি চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য
করে। পাশাপাশি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখে। বিশেষ করে গ্লুকোমায় ভুগছেন
এমন ব্যক্তিদের জন্য হিতকর খাবার ঘি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট:
ঘি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ খাবার। এ উপাদান
অন্যান্য খাবারের ভিটামিন ও মিনারেলের
সঙ্গে মিশে রোগ প্রতিরোধশক্তি
বাড়িয়ে দেয়।
হাড় মজবুতে:
মাংসপেশির সঙ্গে হাড়ের গঠন মজবুত করে
ঘি এবং ঘি দিয়ে তৈরি খাবার।
ত্বকের যত্নে ঘি:
ত্বকের যত্মে এটি খুব উপকারী। তাই সুন্দর
থাকতে এবং চামড়া টানটান রাখতে নিয়মিত এটি
খেয়ে যান।
কোলেস্টেরল সমস্যা সমাধানে:
আপনার যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা
থাকে, তাহলে মাখনের চেয়ে এটি
বেশি উপকারে আসবে। তবে যাদের
উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে,
তাদের খাবারের তালিকায় ঘি না থাকাই শ্রেয়।
এ খাবার গ্রহণে পরিমিত হতে হবে।
একবারে বেশি খাওয়া যাবে না। দিনে ১০
থেকে ১৫ গ্রাম ঘি খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগলে এ গুরুপাক
খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো বলে মনে
করেন পুষ্টিবিদরা।