দন্ডবিধির ধারা ১০০ অনুযায়ী কেউ
আত্মরক্ষার্থে খুন করলে তা অপরাধ হিসেবে
গণ্য হবে না।
.
ধারাটি তখনই প্রয়োগ করা যাবে–
.
১) যদি কোন লোক আপনার উপর এমন আঘাত
করতে উদ্ধ্যত হয় যার ফলে ন্যায় সঙ্গতভাবেই
আপনার এরূপ আশংকার সৃষ্টি হয় যে,
আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে সে
আঘাতকে প্রতিহত না করলে আপনার মৃত্যু
অনিবার্য।
.
২) যদি কোন লোক আপনাকে এমন আঘাত বা
আক্রমণ করে যার ফলে ন্যায় সঙ্গতভাবেই
এরূপ আশাংকার সৃষ্টি হয় যে, সে আঘাত বা
আক্রমণের ফলে আপনার গুরুতর আহত হওয়া
অনিবার্য।
.
৩) আপনি যদি স্ত্রীলোক হন এবং আপনাকে
যদি কেউ ধর্ষণ করতে আসে। (অর্থাৎ
স্ত্রীলোক তার ইজ্জত রক্ষার্থে ধর্ষণে
উদ্ধত লোকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারেন।)
.
৪) যদি কেউ কোন অস্বাভাবিক কামনা
চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আঘাত বা হামলা
করে।
.
৫) যদি কোন লোক কোন শিশু বা নারীকে
অপহরণের উদ্দেশ্যে আঘাত বা হামলা করে।
.
৬) যদি আপনাকে কেউ বেআইনীভাবে আটক
করতে উদ্যত হয় এমন পরিস্থিতিতে আপনার
ন্যায়সঙ্গতভাবে আশংকা হয় যে, আপনি আটক
হলে সরাসরি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আপনি
আর উদ্ধার হতে পারবেন না, তখন আত্মরক্ষার
অধিকার প্রয়োগ করা যাবে।
.
তবে আইন এও বলেছে (দঃ বিঃ ৯৯ ধারায়)
আত্মরক্ষার জন্য যতদুর পর্যন্ত ক্ষতিসাধন
করা প্রয়োজন তার বেশী ক্ষতি সাধন করা
যাবে না।