ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা’র হিসাব। অবশ্য এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আর তা হলো এই যে এক একরের একশত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় “এক শতাংশ” জমি (অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো “এক ডেসিমাল জমি { প্রচলন এলাকা ঢাকা}”)। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো “বিঘা” এবং বিঘা’র উর্ধ্বতর একক হলো “একর।” ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং “সরকারি মান” ( Standard Measurement) হিসেবে অনুমোদিত। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ভাবে গান্টার শিকল জরীপ পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ মাপা হয়ে থাকে। আন্তজার্তিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে ভূমির পরিমাপ হলো:
(১) ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতক
(২) কাঠা,
(৩) বিঘা এবং
(৪) একর
ইঞ্চি, ফুট ও গজ
১২” ইঞ্চি = ১’ ফুট
৩’ ফুট= ১ গজ
ভূমি যে কোন সাইজের হোক না কেন ভূমির দের্ঘ্য ও প্রস্থে যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১.০০ একর (এক একর) হবে। https://amirulislaminfo.wordpress.com
যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০ গজ×২২ গজ= ৪৮৪০ বর্গগজ।(ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য গুনন প্রস্থ)
বর্গগজ/বর্গফুট অনুযায়ী শতাংশ ও একরের পরিমাণ
শতক / শতাংশ/ ডেসিমাল
১ লিংক=.৬৬ ফুট
১ শতক =৬২৭২৬.৪৪ বর্গইঞ্চি
১ শতক =৪৩৫.৬০ বর্গফুট
১ শতক =১৯৩.৬০ বর্গহাত
১ শতক =৪৮.৪০ বর্গগজ
১ শতক =৪০.৪৬ বর্গমিটার
কাঠা – Katha
১ কাঠা = ১.৬৫৩ ডেসিমাল
১ কাঠা = ১.৬৫৩ শতাংশ
১ কাঠা = ১০৩৬৮০.০৬৬ বর্গইঞ্চি
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট
১ কাঠা = ৩২০ বর্গহাত
১ কাঠা = ৮০ বর্গগজ
১ কাঠা = ৬৬.৮৯০ বর্গমিটার
১ কাঠা = ১৬৫২.৮৯ বর্গলিংক
বিঘা Bigha
১ বিঘা = ২০৭৩৬০১.৩২৭ বর্গইঞ্চি
১ বিঘা = ১৪৪০০ বর্গফুট
১ বিঘা = ৬৪০০ বর্গহাত
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ
১ বিঘা = ১৩৩৭.৮০৫ বর্গমিটার
১ বিঘা = ৩৩ শতক
১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ বিঘা = ৩৩ ডেসিমাল
১ বিঘা = ৩.৩০৫ বর্গচেইন
মিলিমিটার ও ইঞ্চি
১ মিলিমিটার= ০.০৩৯৩৭ (প্রায়),
১ সেন্টিমিটার= ০.৩৯৩৭ (প্রায়),
১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি বা ৩.২৮ ফুট/ ১.০৯৩ গজ (প্রায়),
১০০০ মিটার = ১ কিলোমিটার,
১ কিলোমিটার= ১০৯৩.৬১ গজ,
২ কিলোমিটার = (সোয়া মাইল),
১৭৬০ গজ = ১ মাইল,
১৩২০ গজ = পৌন এক মাইল,
৮৮০ গজ = আধা মাইল,
৪৪০ গজ = পোয়া মাইল,
১ বর্গ মিটার = ১০.৭৬ বর্গফুট (প্রায়),
১ হেক্টর = ২.৪৭ একর (প্রায়),
১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার (প্রায়)
https://amirulislaminfo.wordpress.com
গান্টার শিকল জরীপ
ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ফরাসি বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরণের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট
গান্টার শিকল ভূমি পরিমাপের সুবিধার্থে একে ১০০ ভাগে ভাগ করা হয় থাকে। এর প্রতিটি ভাগকে লিঙ্ক বা জরীপ বা কড়ি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
প্রতি এক লিঙ্ক = ৭.৯২ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য ১০ চেইন ×প্রস্থে ১ চেইন = ১০ বর্গ চেইন = ১ একর গান্টার শিকলে ১০ লিঙ্ক বা ৭৯.২ ইঞ্চি পর পর নস বা ফুলি স্থাপন করা হয় (নস ফুলি)
২০ লিঙ্ক বা ১৫৮.৪ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়- ৩০ লিঙ্ক বা ২৩৭.৩ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়- ৪০ লিঙ্ক বা ৩১৬.৮ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়- ৫০ লিঙ্ক বা ৩৯৬.০ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়- ৮০ গান্টার বা ১৭৬০ গজ পর স্থাপিত হয়- মাইল ষ্টোন
একর শতকে ভূমির পরিমাপ
১০০ লিঙ্ক = ১ গান্টার শিকল ১০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ শতক ১,০০,০০০ বর্গ লিঙ্ক = ১ একর
আমাদের দেশে জমি-জমা মাপযোগের সময় চেইনের সাথে ফিতাও ব্যবহার করা হয়। সরকারি ভাবে ভূমি মাপার সময় চেইন ব্যবহার করা হয় এবং আমিন বা সার্ভেয়ার ইত্যাদি ব্যক্তিগণ ভূমি মাপার সময় ফিতা ব্যবহার করেন। ভূমির পরিমাণ বেশি হলে চেইন এবং কম হলে ফিতা ব্যবহার করাই বেশি সুবিধাজনক।
বিভিন্ন প্রকারের আঞ্চলিক পরিমাপ
https://amirulislaminfo.wordpress.com
আমাদের দেশে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন প্রকারের মাপযোগ প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো কানি-গন্ডা, বিঘা-কাঠা ইত্যাদি। অঞ্চলে ভেদে এই পরিমাপগুলো আয়তন বিভিন্ন রকমের হয়ে তাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমির পরিমাপ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হলেও সরকারি ভাবে ভূমির পরিমাপ একর, শতক পদ্ধতিতে করা হয়। সারাদেশে একর শতকের হিসাব সমান।
কানিঃ কানি দুই প্রকার। যথা- (ক) কাচ্চা কানি (খ) সাই কানি
কাচ্চা কানি: ৪০ শতকে এক কাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।
সাই কানিঃ এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।
কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনা
২ কানি ১০ গন্ডা (৪০ শতকের কানিতে) = ১ একর , ১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট ,
১ কানি = ১৯৩৬ বর্গগজ ,
১ কানি = ১৬১৯ বর্গমিটার ,
১ কানি = ৪০ বর্গ লিঙ্ক,
১ একর = ১০ বর্গ চেইন,
১ একর = ১০০ শতক ,
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার ,
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক ,
১ একর = ৬০.৫ কাঠা ,
১ শতক = ১/২ গন্ডা বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট ,
https://amirulislaminfo.wordpress.com
বিঘা-কাঠার হিসাব
১ বিঘা = (৮০ হাত×৮০ হাত) ৬৪০০ বর্গহাত,
১ বিঘা = ২০ কাঠা,
১ কাঠা = ১৬ ছটাক,
১ ছটাক = ২০ গন্ডা,
১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক,
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট,
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট,
১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট
লিঙ্ক এর সাথে ফুট ও ইঞ্চির পরিবর্তন
১ লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি, ৫ লিঙ্ক = ৩ ফুট ৩.৬ ইঞ্চি, ১০ লিঙ্ক = ৬ ফুট ৭.২ ইঞ্চ, ১৫ লিঙ্ক = ৯ ফুট ১০.৮ ইঞ্চি, ২০ লিঙ্ক = ১৩ ফুট ২.৪ ইঞ্চি, ২৫ লিঙ্ক = ১৬ ফুট ৬.০ ইঞ্চি, ৪০ লিঙ্ক = ২৬ ফুট ৪.৮ ইঞ্চি, ৫০ লিঙ্ক = ৩৩ ফুট, ১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট
এয়র হেক্টর হিসাব
১ হেক্টর = ১০,০০০ ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর ১ হেক্টর = ৭.৪৭ বিঘা ১ হেক্টর = ১০০ এয়র
https://amirulislaminfo.wordpress.com
দেশীয় হিসাব নিকাশের জটিলা সমাধান :
১ লিংক =. ৬৬ ফুট
৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতক / ডেসিমাল
৩৩ শতক = ১ বিঘা
২০ কাঠা = ১ বিঘা
১.৬৫ শতক = ১ কাঠা
৭১৮.৭৪ বর্গফুট = ১ কাঠা
১৪৩৭৪.৮০ বর্গফুট = ১ বিঘা
ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ
আমরা জানি, ৪৩৫.৬ বর্গফুটে ১ শতক আবার এটাও জানি যে, ৩৩ শতকে ১ বিঘা. তাহলে ১ বিঘা সমান কত বর্গফুট? এখানে, ৪৩৫.৬ গুনন ৩৩ = ১৪৩৭৪.৮ বর্গফুট ( ১ বিঘা বা ৩৩ শতক)
শতককে হাতে রুপান্তর:
৪৩৫.৬ বর্গফুট সমান ১ শতক। এটাকে এখন যদি root করি তাহলে ২০.৮৭ ফুট হয় ( আবার এটার স্কায়ার করলে ৪৩৫.৫৬ বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট)
বা ২০.৮৭ ফুট গুনন ১২ ইঞ্চি সমান ২৫০.৪৪ ইঞ্চি ( ফুটকে ইঞ্চিতে রুপান্তর করলাম) আমরা জানি, ১৮ ইঞ্চিতে ১ হাত তাহলে,
২৫০.৪৪ ÷ ১৮ইঞ্চি = ১৩.৯১ হাত। এখন ১৩.৯১হাত এর স্কায়ার করলে ১৯৩.৫৮ বা ১৯৩.৬০ বর্গহাতে ১ শতক।
পক্ষান্তরে, ১৪৩৭৪.৮০ বর্গফুটে ১ বিঘা আবার ২০ কাঠায় ১ বিঘা
১৪৩৭৪.৮০÷২০=৭১৮.৭৪ বর্গফুট
৭১৮.৭৪ বর্গফুট = ১ কাঠা
৪৩৫.৬০ বর্গফুটে ১ শতক
৭১৮.৭৪÷৪৩৫.৬= ১.৬৫ শতক অর্থাৎ ১.৬৫ শতকে ১ কাঠা। ১.৬৫ গুনন ২০= ৩৩ শতক বা ১ বিঘা।
৭১৮.৭৪ বর্গফুট এর রুট করলে ২৬.৮১ফুট হয়
২৬.৮১ ফুট গুনন ১২ ইঞ্চি = ৩২১.৭২ ইঞ্চি ( ফুটকে ইঞ্চিতে রুপান্তরের সূত্র= ফুট গুনন ইঞ্চি)
১৮ ইঞ্চিতে ১ হাত
৩২১.৭২ ÷ ১৮=১৭.৮৭ হাত, এর স্কায়ার করলে ৩১৯.৩৩ বা ৩২০ বর্গহাত। ৩২০ বর্গহাতে ১ কাঠা।
সুতাকে ইঞ্চিতে পরিণত করার পদ্ধতি :
আমরা জানি, ৮ সুতায় ১ ইঞ্চি
সূত্র: সুতা÷৮=ইঞ্চি
যেমন: ২ সুতা = কত ইঞ্চি? উ: ২÷৮=.২৫ ইঞ্চি
৪ সুতা= কত ইঞ্চি? উ: ৪÷৮=.৫০ইঞ্চি
৫ সুতা= কত ইঞ্চি? উ: ৫÷৮=.৬২৫ ইঞ্চি
ইঞ্চিকে ফুটে পরিবর্তন করার পদ্ধতি
আমরা জানি,১২ ইঞ্চি= ১ ফুট
সূত্র: ইঞ্চি÷ ১২= ফুট
যেমন: ১ ইঞ্চি = কত ফুট? উ: ১÷১২=.০৮৩ ফুট
৩ ইঞ্চি = কত ফুট? উ: ৩÷১২=.২৫ ফুট
৬ ইঞ্চি=কত ফুট? উ: ৬÷১২=.৫০ ফুট।
৫০’-৬” বা পঞ্চাশ ফুট ছয় ইঞ্চি বা ৫০.৫ ফুট ( ৬÷১২=. ৫) আবার ৫০’-৪” পঞ্চাশ ফুট চার ইঞ্চি বা ৫০.৩৩ ফুট ( ৪÷১২=.৩৩)
প্রশ্নত্তোর পর্ব:
(১) আয়তক্ষেত্র: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান সমান্তরাল এবং প্রত্যেক কোন ৯০ ডিগ্রী তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের সূত্র: দৈর্ঘ্য গুনন প্রস্থ = বর্গমান। আমরা জানি, ৪৩৫.৬০ বর্গফুট=১ শতক
প্রশ্ন: যদি একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৫০০’ ফুট ও প্রস্থ ২১০’ হয়,তাহলে কত শতক ভূমি আছে?
সমাধান: ( দৈর্ঘ্য গুনন প্রস্থ) ÷৪৩৫.৬০
=( ৫০০গুনন ২১০)÷৪৩৫.৬০
= ১০৫০০০÷৪৩৫.৬০
=২৪১.০৪৬ শতক
(২) বিষমবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের কোন বাহুই সমান নয় তাকে বিষমবাহু ত্রিভুজ বলে। ব্যাখ্যা: নিম্নে চিত্র দেয়া হয়েছে।
আমরা জানি, ৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ। আমরা শতাংশ নিয়েই আলোচনা করবো।চিত্রে যে ছবিটি অংকন করা হয়েছে তা হলো চতুর্ভুজ আকৃত্রির। জমি সাধারণত চতুর্ভুজ হয়ে থাকে। যে সূত্র আলোকপাত করা হয়েছে তা দিয়ে শতকরা ৯৯ % এরও বেশি জমির হিসাব নিকাশ করা সম্ভব। চতুর্ভুজ জমিকে যা করতে হবে তা হলো বিষমবাহু ত্রিভুজ অংকন করতে হবে।উপরের চিত্র লক্ষ্য করুন।
https://amirulislaminfo.wordpress.com
1. সূত্র : অর্ধপরিসীমা=(a+b+c)÷২
রুট ওভার না উঠার জন্য root ব্যবহার করেছি দু:খিত।
2.বিষমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল= root s(s-a) (s-b) (s-c)
A1 এর অর্ধপরিসীমা= (a+b+c)÷2
=(৪০+৫০+৬০)÷২=১৫০÷২=৭৫
A1 বিষমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল :
=root s(s-a)(s-b)(s-c)
=root ৭৫(৭৫-৪০)(৭৫-৫০)৭৫-৬০)
=root ৭৫ *৩৫*২৫*১৫
=root ৯৮৪৩৭৫
A1= ৯৯২.১৫
A2 এর অর্ধপরিসীমা= (C+D+E)÷২
= (৬০+৫৫+৪৫)÷২
=১৬০÷২=৮০
A2 এর ক্ষেত্রফল = root s(s-c)(s-d)(s-e)
=root ৮০(৮০-৬০)(৮০-৫৫)(৮০-৪৫)
=root ৮০*২০*২৫*৩৫
=root ২৪০০০০০
= ১১৮৩.২১
এখন বাহুদ্বয়ের যোগফল:A1+A2
৯৯২.১৫+১১৮৩.২১=২১৭৫.৩৬ বর্গফুট÷৪৩৫.৬০=৪.৯৯
বা ৫ শতাংশ
জমি পরিমাপের জ্যামিতিক সূত্র
চতুর্ভুজ: চারটি সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ বলে।
১। আয়তক্ষেত্র ২। বর্গক্ষেত্র ৩।সামন্তরিক ৪।ট্রাপিজিয়াম ৫।অনিয়মিত চতুর্ভুজ
১। আয়তক্ষেত্র: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং প্রত্যেক কোন ৯০ ডিগ্রী তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল= দৈর্ঘ্য গুনন প্রস্থ = বর্গমান
Example : একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট প্রস্থ ৪০ ফুট হলে উক্ত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কত বর্গফুট এবং উক্ত ক্ষেত্রে কত শতাংশ জমি আছে?
সমাধান: আমরা জানি, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য গুনন প্রস্থ = ৫০ গুনন ৪০ = ২০০০ বর্গফুট ÷৪৩৫.৬= ৪.৫৯ শতাংশ।
২।বর্গক্ষেত্র: যে চতুর্ভুজের প্রত্যেক বাহু সমানও কোন গুলো ৯০ ডিগ্রী হয় তাকে বর্গক্ষেত্র বলে।
বর্গক্ষেত্রের সূত্র: বাহু স্কায়ার
একটি বর্গক্ষেত্রের উত্তর আইল ৭৫ ফুট, দক্ষিণ আইল ৭৫ ফুট, পূর্ব আইল ৭৫ ফুট ও পশ্চিম আইল ৭৫ ফুট তাহলে উক্ত বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কত শতাংশ?
সমাধান: ক্ষেত্রফল = ৭৫ স্কায়ার =৫৬২৫ বর্গফুট ÷৪৩৫.৬=১২.৯১২ শতাংশ।
৩। সামন্তরিক : যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল কিন্তুু কোণ গুলো ৯০ ডিগ্রী নয় তাকে সামন্তরিক বলে। সূত্র: ভূমি গুনন উচ্চতা
উদা: একটি সামন্তরিক ক্ষেত্রের ভূমি ১৮০ ফুট উচ্চতা ১০০ ফুট তাহলে উক্ত সামন্তরিকে কি পরিমাণ জমি আছে?
সমাধান: সামন্তরিকের ক্ষেত্রফল = ১৮০*১০০=১৮০০০ বর্গফুট ÷৪৩৫.৬=৪১.৩৩ শতাংশ।
৪।রম্বস :যে চতুর্ভুজের প্রত্যেকবাহু সমান কিন্তুু কোণগুলো ৯০ ডিগ্রী নয় তাকে রম্বস বলে।সূত্র: রম্বস ক্ষেত্রফল নির্ণেয়ের সূত্র:( কর্ণ *কর্ণ)÷২= বর্গমান
উদা: একটি রম্বস ক্ষেত্রের এক কর্ণ ১০০ ফুট অপর কর্ণ ১২০ ফুট হলে উক্ত ক্ষেত্রে কত শতাংশ জমি আছে?
সমাধাণ :(১২০*১০০)÷২=৬০০÷৪৩৫.৬=১৩.৭৭৪ শতাংশ।
৫।ট্রাপিজিয়াম : চতুর্ভুজের ১ জোড়া বিপরীত বাহু পরস্পর সমান্তরাল কিন্তুু সমান নয় তাকে ট্রাপিজিয়াম বলে।সূত্র:(সমান্তরাল বাহুদ্বয়ের যোগফল* উচ্চতা)÷২
উদা: ১ টি ট্রাপিজিয়াম ক্ষেত্রের সমান্তরাল বাহু দুটির যোগফল যথাক্রমে ১২৫ ও ১০০ ফুট উচ্চতা ৮০ ফুট হলে কত শতাংশ জমি আছে?
সমাধাণ : ট্রাপিজিয়ামের ক্ষেত্রফল {(১২৫*১০০)*৪০}÷২=৯০০০÷৪৩৫.৬= ২০.৬৭ শতাংশ
৬।অনিয়মিত চতুর্ভুজ: যে চতুর্ভুজের কোন বাহু ও কোন কোণ মিল নেই তাকে অনিয়মিত চতুর্ভুজ বলে।সূত্র: (অফসেট দুটির যোগফল * কর্ণ)÷২
চিত্রানুসারে সূত্রে বসায়:{(১৭৫+১৮০)*৫০৮}÷২=৯০১৭০÷৪৩৫.৬=২০৭ শতাংশ
ত্রিভুজ: ১। সাধারণ ত্রিভুজ ২। সমকোণী ত্রিভুজ ৩।বিষম বাহু ত্রিভুজ ৪।সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ ৫।সমবাহু ত্রিভুজ।
জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে বেশি বিষমবাহু ত্রিভুজ ব্যবহার হয়।তাই বিষমবাহু ত্রিভুজ সম্পর্কে আলোচনা করবো।
বিষমবাহু ত্রিভুজের সজ্ঞা:যে ত্রিভুজের ১টি বাহু ও ১টি কোণ ও সমান নয় তাকে বিষমবাহু ত্রিভুজ বলে।সূত্র: অর্ধপরিসীমা: s=(a+b+c)÷2
ক্ষেত্রফল =রুট ওভার s(s-a)(s-b)(s-c)
Q.১ টি বিষমবাহু ত্রিভুজের ১ টি বাহু ১৭০ ফুট ১ টি ১৭৫ ফুট ১ টি ২০০ ফুট হলে কত শতাংশ জমি আছে?
অর্ধপরিসীমা= (১৭০+১৭৫+২০০)÷২=২৭২.৫
অতএব,ক্ষেত্রফল= রুট ওভার ২৭২.৫(২৭২.৫-১৭০)(২৭২.৫-১৭৫)(২৭২.৫-২০০)
= রুট ওভার ২৭২.৫*১০২.৫*৯৭.৫*৭২.৫০
=রুট ওভার ১৯৯৪৩৯০২৩.৪৩৭
=১৪০৫১.২৯ বর্গফুট ÷৪৩৫.৬=৩২.২৫৭ শতাংশ
আমাদের দেশের বা গ্রামের আমিন বা সার্ভেয়ারগণ গড় করে হিসাব নিকাশ করে থাকেন। যা আসলে একটা প্রাথমিক ধারণা দেয় যা ১০০% সঠিক বলা যায় না।
প্র: ১ টি জমির দৈর্ঘ্য ১৩০ ফুট ও ১৪০ ফুট এবং প্রস্থ ৪৬ ফুট ও ৬০ ফুট হলে কত শতাংশ জমি আছে?
জমির দৈর্ঘ্য = ১৩০+১৪০=২৭০÷২=১৩৫
ও প্রস্থ = ৪৬+৬০=১০৬÷২=৫৩
ক্ষেত্রফল=দৈর্ঘ্য *প্রস্থ
=১৩৫*৫৩=৭১৫৫÷৪৩৫.৬=১৬.৪২
উত্তর: ১৬.৪২ শতাংশ
জ্যামিতি সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।http://wp.me/p65l7K-Rv
সকল এলাকার হিসাব নিকাশ জানতে জেলার নাম,থানার নাম ও কি কি জমির একক ব্যবহার করা তা দিয়ে আমাকে ফেসবুকে ম্যাসেজ করুন।
FB ID:m.facebook.com/amirul.islam.204103
ভাই, আমার এক বন্ধু বলছে ৪৩৫.৬ =১ শতক সথিক নয়। কারণ সে মনে করে ১৪৪০০ বর্গফুট = ১ বিঘা অর্থযাথ ৩৩ শতক। এর সঠিক যুক্তি জানাবেন দয়া করে
LikeLike