বেপরোয়া যান চালালে শাস্তি
……………………………………..
দুর্ঘটনা থামিয়ে দিয়েছে জীবনের
স্পন্দন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হতে হবে
সচেতন। বেপরোয়া যান চালালে
শাস্তি পেতে হবে। এ বিধান যেমন
সড়ক যানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনি
নৌযানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারা অনুযায়ী যদি
কোনো ব্যক্তি জনসাধারণের ব্যবহৃত
কোনো সড়কে বেপরোয়া বা
অবহেলামূলকভাবে কোনো গাড়ি
চালায় এবং এর ফলে যদি মানুষের
জীবন বিপদাপন্ন হয় কিংবা কোনো
ব্যক্তি আহত বা জখম হওয়ার আশঙ্কা
দেখা দেয়, তাহলে দায়ী চালকের
জন্য শাস্তি অবধারিত। এ শাস্তির
পরিমাণ হবে তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো
মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড
কিংবা সর্বনিম্ন এক থেকে পাঁচ
হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা
উভয় দণ্ড। দণ্ডবিধির ৩৩৮ ক ধারা
অনুযায়ী যদি কেউ বেপরোয়া বা
অবহেলা করে জনপথে গাড়ি চালিয়ে
কোনো ব্যক্তিকে গুরুতর আঘাত করার
ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন হয়;
তাহলে দায়ী ব্যক্তিকে দুই বছর পর্যন্ত
জেল বা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে
দণ্ডিত হতে হবে।
দণ্ডবিধির ৩০৪ খ ধারায় বলা হয়েছে,
কোনো ব্যক্তি বেপরোয়া যান
চালিয়ে বা অবহেলাজনকভাবে
জনপথে যান চালিয়ে কারও মৃত্যু ঘটায়,
তাহলে দায়ী চালককে তিন বছর পর্যন্ত
যেকোনো মেয়াদের কারাদণ্ড বা
অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে
হবে। এ ছাড়া মোটরযান আইনে বলা
হয়েছে, বেপরোয়া বা বিপজ্জনক
গাড়ি চালানোর শাস্তি হচ্ছে ছয়
মাসের কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা
জরিমানা। এর সঙ্গে গাড়ি চালনার
লাইসেন্স ও নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত
স্থগিত থাকবে। এ অপরাধ একই চালক
তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার করলে ছয়
মাস কারাদণ্ড কিংবা এক হাজার
টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
সঙ্গে গাড়ি চালনার সনদও এক মাস
পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
দণ্ডবিধির ২৮০ ধারা অনুযায়ী
বেপরোয়া নৌযান চলাচলের শাস্তি
সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ ধারা অনুযায়ী
যদি কোনো ব্যক্তি এমন
বেপরোয়াভাবে বা অবহেলার সঙ্গে
কোনো নৌযান চালনা করে, যার ফলে
জনজীবন বিপদাপন্ন হয় কিংবা আঘাত
পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে দায়ী
ব্যক্তিকে ছয় মাস পর্যন্ত যেকোনো
মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড
বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা
কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
কোনো চালক বেপরোয়া যান
চালালে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত
ব্যক্তি বা তাঁর পক্ষে যেকোনো
ব্যক্তি নিকটস্থ থানায় এজাহার
দায়ের করতে পারেন। এজাহারের
মাধ্যমে মামলা রুজু করে পুলিশ অপরাধ
তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির
বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে
দাখিল করবে। প্রয়োজনে দায়ী
ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে
চালান দিতে পারে অভিযোগপত্র
দাখিলের আগেই।
দেশে নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণে একটি
অধ্যাদেশ আছে। যার নাম অভ্যন্তরীণ
নৌচলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬। এ
অধ্যাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে
কীভাবে নৌচলাচল করবে সে সম্পর্কে
বলা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী
গঠিত হয়েছে নৌ আদালত। নদীপথে
কোনো আইন অমান্য করলে এর বিচার
হবে নৌ আদালতে। এ আদালত বিচার
শেষে দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে
অধ্যাদেশে বর্ণিত শাস্তিসহ
ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারে।
বেপরোয়া যান চালালে শাস্তি
10 Sunday May 2015
Posted LAW
in